যেসব জনপ্রতিনিধি বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে যুক্ত হয়েছেন, মাদক, সন্ত্রাসের সাথে জড়িত- তাদের আগামীতে যেকোনো পর্যায়ের নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা জানান তিনি। এ সময় জনগণের পাশে থেকে তাদের জন্য কাজ করতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের অবস্থান ভারী করার জন্য নিজের লোকদের কমিটিতে রাখা যাবে না। তিনি দলের দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের কমিটিতে সুযোগ করে দিতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। যাদের মানুষ পছন্দ করে তাদেরকেই নেতা বানাতে হবে। নিজের পছন্দের কাউকে নয়, দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশ্য বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ নয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন তারা দেশের জন্য রাজনীতি করে না, তারা রাজনীতি করে লুটপাটের জন্য।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন আর বিএনপির লক্ষ্য নিজেদের পকেটের উন্নয়ন। যারা নিজেদের নেত্রীর জন্য একটা কার্যকরি মিছিল করতে পারে না, তাদের মুখে আন্দোলনের কথা মানায় না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সিরিজ বৈঠক হচ্ছে সিরিজ ষড়যন্ত্রের অংশ। জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই তারা নির্বাচনকে ভয় পায় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো আছে বলেই বিএনপি ভালো নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক এক করে দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, একাধিক আন্ডারপাস, চারলেন, আটলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরেছে, বিএনপি নেতাদের এত উন্নয়ন সহ্য হয় না বলে তারা প্রলাপ বকছে। বিএনপির সেই অন্ধকার যুগ পেরিয়ে আজকে বাংলাদেশে শান্তির সুবাতাস বইছে, এটাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।